পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ মুহিব ও তার দুর্নীতির হাতিয়ার গ্রাম পুলিশ ইউসুফের গাছ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে ঘুড়ে জানাগেছে, বড়গোপালদী ব্রীজ সংলগ্নে ওয়াপদা রাস্তা সংস্করন করার সময় বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া ও টেন্ডার বিহীন সরকারি গাছ কেটে কোন টেন্ডার ছাড়াই কয়েক লক্ষ টাকা বিক্রি করেছে চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ ও সহযোগী গ্রামপুলিশ। এছাড়াও গ্রাম পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে ৩ লক্ষ টাকা, সরকারি ঘর বরাদ্দে অনিয়ম, অযুফা খানম মহিলা মাদ্রাসার জমি জবর দখল, বরগোপালদী বাজারে ব্যাবসায়ী পংকজকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সরকারি খাশ জমিতে পাকা ভবন নির্মানের পারমিশন দেয়া সহ নানানা অপকর্ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ ও দুর্নীতির সহযোগী হাতিয়ার গ্রাম পুলিশ ইউসুফের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে অত্র এলাকার বন সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, রাস্তা সংস্কারন করার সময় কয়েক’শো গাছ কেটে গ্রাম পুলিশ ইউসুফের মাধ্যমে বিক্রি করেছে চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ।তখন সবাইকে বলেছে গাছের টেন্ডার হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসী জানতে পারে কোন টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে তিনি।পরে বনবিভাগকে অবহিত করা হলে রেঞ্জ অফিসার অমিতাব ঘটনাস্থলে এসে কিছু গাছ স্ব-মিল থেকে উদ্ধার করে বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যায়।কিন্তুু কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি আজ-অব্দি।তিনি আরও বলেন, এই গাছের ৫৫% এলাকাবাসী দাবিদার হলেও তারা এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এসময় মনির ভুইয়া বলেন, জাফর, সবুজ, জালাল, শিয়ান সহ কয়েকজনকে দিয়ে সরকারি গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করেছে চেয়ারম্যান এই দুর্নীতির বিচার হওয়া উচিত।এছাড়াও বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে বর্ধনা গ্রামের সাবেক চৌকিদার ফোরকান হাওলাদার বলেন, তার ছেলেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ কিন্তু সেই চাকরি অন্য জনকে দিয়ে অর্থ লেনদেম করেছে।
এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী কিছু গাছ রহিম প্যাদার ছেলে কামাল প্যাদা, জালাল মেম্বার ও ফার্নিচার ব্যাবসায়ী অমলের কাছে বিক্রি করেছে বাকি গাছ স্বরূপকাঠি থেকে আসা ট্রালারে বিক্রি করেছে। এছাড়াও নলখোলা ইউসুফের মিলে নিয়ে রাখা হয়েছিলো।এভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে ধাপে ধাপে ৩-৪ লক্ষ টাকার সরকারি গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।তথ্য অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া গেছে তাছাড়া গাছ ক্রেতারা সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ বলেন একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এবং বিভিন্ন মিথ্যে অভিযোগ দিয়েছে এরা সবাই তার বিরোধী দলের লোক বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ ইউসুফের বক্তব্য নিতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায় নি, তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আসি আসতেছি বলে তালবাহানা করে।